ইলিয়াস হাওলাদার, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:  ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামের ইট সলিং গ্রামীণ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের ইট উঠে গর্ত ও খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষকে। তবুও সড়ক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১নং চেঁচরী রামূপরের মহিষকান্দির জনগণকে দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করতে উপজেলার তফসেরের খেয়াঘাট থেকে সরিফ বাড়ি পর্যুন্ত ৩.৫০ কি.মি. রাস্তার ২.০০ কি.মি. অনেক আগেই ইটের সলিং করা হয়। বাকি ১.৫০ কি.মি. ২ বারে এলজি এসপির ও ১বার এডিবির বরাদ্দ থেকে ইটের সলিং করা হলেও বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।

সড়কের স্থানে স্থানে ইট উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ২টি প্রাইমারী স্কুল, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, টি নুরানি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। তাছাড়াও কয়েক হাজার মানুষের উপজেলা শহরে যাতায়াতের এটাই একমাত্র রাস্তা।

বাজারসহ ৩টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। চলাচলের জন্য এই সড়কটি একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ- সুবিধা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন সেখানে গ্রামীণ এই সড়ক বেহাল দশার দীর্ঘ সময় পার হলেও সংস্কারের কোনো খবর নেই কর্তৃপক্ষের। মহিষকান্দি গ্রামের গাড়ি চালক মো. এমাদুল হাওলাদর, সুজন হাওলাদার, রফিক হাওলাদার এবং আসাদউল জানান, আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি। উপজেলা সড়ক পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে গাড়ি নিয়ে যেতে হয়। মাঝে মাঝে ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। বর্তমানে সড়কের ইট উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

উপজেলার ১নং চেঁচরী রামপূন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন আর রসিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কে এমন বেহাল দশা চলছে। বিশেষ করে জরুরি সেবা প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। তবে রাস্তাটি পাকা করনের জন্য চেষ্টা চলছে।